বিশেষ প্রতিবেদন (চট্টগ্রাম):-
বর্তমান সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রম কে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কিছু উৎশৃখংল সমর্থক গতকাল সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর থানাধীন ঈশান মিস্ত্রিরহাট খালপাড় এলাকায় সন্ত্রাসী শাকিলের নেতৃত্বে গুপ্ত মিছিল বের করে।
১১ আগস্ট রাতে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সেকেন্ড অফিসার মোঃ আবু সাঈদ রানা কে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ - ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিত আক্রমণ করে।
পুলিশের কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান করে এবং এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদ রানার মাথা, গলা, হাত ও পেটে গুরুতর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত করেছেন।
পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,রাত আনুমানিক ২টার দিকে বন্দর -ইপিজেড জোনের সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
একই সাথে পরবর্তীতে ইং ১১/০৮/২০২৫ তারিখ রাত ১১.৫০ ঘটিকা হতে ইং পুলিশের জরুরী অভিযানে ভোরে ১২ আগস্ট তারিখ ৪.টা পর্যন্ত বন্দর থানা এলকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আঃ লীগের ১৮ সন্ত্রাসী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-
১। মোঃ হাসান (২২), ২। জাহিদ হাসান (২৩), ৩। মনির হোসেন (২৮), ৪। শাহাদাত হোসেন (৪৯), ৫। মোঃ দেলোয়ার (২০), ৬। মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৮) , ৭। অমিত হাসান শান্ত (২৫), ৮। মোঃ আব্দুল আজিম (৫৫), ৯। মোঃ ইকবাল (৩২), ১০। মোশারফ প্রকাশ সাহেব (৪৯), ১১। মোঃ রাকিব সরকার (২৩), ১২। মোহাম্মদ তাসরিফ (২৫), ১৩। সালাউদ্দিন বাদশা (৫২), ১৪। নূর উদ্দিন মাসুম (৪২), ১৫। মোঃ নূর উদ্দিন (৪৭), ১৬। ইমতিয়াজুর রহমান (১৯), ১৭ মোঃ রিমন (২৯) এবং ১৮। মোঃ টিপু (২৪) সহ মোট ১৮(আঠারো) জন ।
গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে ১। লোহার পাইপ ০১টি, ২। শাবল ০১টি, ৩। কুড়াল ০১টি, ৪। চাপাতি ০১টি, ৫। ০১টি লোহার কাচি, ৬। ০১টি ধামা, ৭। ০১টি দা, ৮। ০২টি কাঠের বাটযুক্ত ছোড়া, ৯। ০১টি কাঠের বাটযুক্ত ছোরা, ১০। ০২টি কাঠের বাটযুক্ত ছোরা, ১১। ০১ টি টিপছোরা উদ্ধার করা হয়।
এই সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহোদয়।
উল্লেখ্য যে, ঘটনার সময়ে গুপ্ত মিছিলে সাবেক এমপি এম এ লতিফের নাম ও জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করে খাল পাড় এলাকা থেকে ঈশান মিস্ত্রী হাটের দিকে যাচ্ছিল এই গুপ্ত মিছিল।