আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শহিদুল্লাহকে ওএসডি করা হয়েছে। তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে গাইবান্ধা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি থাকা ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদকে ওই পদে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সনজীদা শরমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে বদলিকৃত গাইবান্ধা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যোগদান না করলে পরবর্তী কর্মস্থলে তাকে ওই পদ থেকে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, ডা. মো. শহিদুল্লাহকে গাইবান্ধার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। তাকে কী কারণে ওএসডি করে বদলি করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয় জানে।
তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে ডা. মো. শহিদুল্লাহ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে ওষুধ চুরি ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকে অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও নানা অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
গত ২৫ জুলাই চিকিৎসকের অবহেলায় সদর হাসপাতালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামাল বাদশাহ (৫৫) নামে এক শ্বাসকষ্টের রোগীর মৃত্যু হয়।
এর ৬ দিন পর বুধবার (৩০ জুলাই) উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা ফুলবাবু দাস (১৮) নামে আরেও এক শ্বাসকষ্টের রোগীর মৃত্যু হয়। পরপর দুই রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালটির চিকিৎসকের দায়িত্ব নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।