মায়ের খন্ডিত মাথা উদ্ধার, পরে মিলল শিশুসন্তানের মরদেহ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৩৬ অপরাহ্ণ   |   ১০৭ বার পঠিত
মায়ের খন্ডিত মাথা উদ্ধার, পরে মিলল শিশুসন্তানের মরদেহ

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:-

 

রংপুরের পীরগঞ্জে শুক্রবার এক নারীর (দেলোয়ারা) খন্ডিত মাথা উদ্ধার হওয়ার একদিন পর, তার পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা সাইমার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দুদিন পর রোববার, পীরগঞ্জ থানা পুলিশ শিশুটির মরদেহটি বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের বাড়ির পেছনে একটি গাছের বাগানের গর্ত থেকে উদ্ধার করে।
 

নিহত দেলোয়ারার স্বামী রেজাউল করিম গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আছিফা আফরোজা আদুরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত দেলোয়ারার স্বামী পুলিশকে জানান, তার মেয়ে সাইমার সন্ধান জানতে চান। রেজাউল জানান, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী দেলোয়ারার সঙ্গে সাইমাও ছিল।
 

এ ঘটনায় পুলিশ আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, দেড় মাস আগে সাইমাকে হত্যা করে, লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পেছনে গাছের বাগানের পাশে ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। আতিকুলের দেওয়া তথ্যে শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
 

এর আগে, শুক্রবার সকালে বড় বদনাপাড়া গ্রামের এক নারী খেত থেকে মরিচ তুলতে গিয়ে মাথাবিহীন নারীর মরদেহ দেখে চিৎকার দেন। স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেন। সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার নাম দেলোয়ারা (৩১) নিশ্চিত করা হয়। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের সাবেক স্ত্রী এবং নীলফামারীর জলঢাকার পশ্চিম গোরমুক্তা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
 

ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন, শনিবার, চতরা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর তীরে পাকার মাথা টোংরারদহ এলাকা থেকে দেলোয়ারার মাথা উদ্ধার করা হয়। আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তার স্বীকারোক্তিতে শিশুসন্তান সাইমার মরদেহও উদ্ধার করা হয়।
 

এদিকে, দেলোয়ারার মরদেহ তার স্বজনরা নিতে অস্বীকার করলে, পুলিশের উদ্যোগে শনিবার রাতে রংপুর সদরের মুন্সিপাড়া সরকারি কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।