ব্যাংক খাতে অলিগার্কদের প্রভাব: সিপিডি সংলাপ

প্রকাশকালঃ ২৩ মে ২০২৪ ০২:১০ অপরাহ্ণ ৫৯২ বার পঠিত
ব্যাংক খাতে অলিগার্কদের প্রভাব: সিপিডি সংলাপ

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ব্যাংক খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চরম অবনতি হয়েছে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যাংক খাতে অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এ প্রবণতা আমানতকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করছে।
 



ঢাকা প্রেসঃ
২৩ মে, ২০২৪:
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে "ব্যাংক খাত: নীতি, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান" শীর্ষক একটি সংলাপের আয়োজন করে। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনা করে এই সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা ব্যাংক ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা, বিশেষ করে অলিগার্কদের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী ড. ফাহমিদা খাতুন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক, ব্যাংক খাতে অলিগার্কদের উত্থানকে ব্যাখ্যা করেন নিজস্ব স্বার্থে তৈরি একটি গোষ্ঠী হিসেবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই গোষ্ঠী ঋণ অনুমোদন, পুনঃতপশিলীকরণ, এমনকি ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে তাদের প্রভাব বিস্তার করে, যা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ভঙ্গুরতা সৃষ্টি করে এবং দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে।

সংলাপে আরও যেসব বিষয় উঠে এসেছে:

# ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতার অভাব: অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেন যে, দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক অনিয়মের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

# ভুল তথ্য প্রদানের প্রভাব: ড. ফাহমিদা খাতুন ব্যাখ্যা করেন যে, ভুল তথ্য নীতি নির্ধারণকে প্রভাবিত করে এবং অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তিনি উন্নত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদাহরণ তুলে ধরেন যেখানে রিয়েল-টাইম তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

# কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ব্যাংকের নীতি নির্ধারণে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি আইনে ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছেন।

# মুদ্রানীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাম্প্রতিক এক আলোচনায় মুদ্রানীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন যে, সুদ হার এবং ডলারের মূল্য সময়মতো সমন্বয় করা উচিত ছিল। শুধুমাত্র সংকোচনমূলক নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে না, বরং ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কৃষি খাতে ঋণ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যেতে পারে।