প্রকাশকালঃ
১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:০৭ অপরাহ্ণ ২৪৫ বার পঠিত
বাংলার প্রকৃতির স্নিগ্ধতার প্রতিচ্ছবি শরতের বিদায় আসন্ন। তবে এখনো নদীর পারে বা গ্রামীণ প্রান্তরে মৃদু বাতাসে দুলছে শুভ্র কাশফুল। বাগানে বাগানে সৌরভ ছড়াচ্ছে শিউলি। মাথার ওপরেও শারদ আকাশের খণ্ড সাদা-নীল মেঘমালা।
মাঝে মাঝে একই সঙ্গে চলছে রোদ-বৃষ্টির খেলা। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে শারদীয় প্রকৃতির এই চিত্রটিই উঠে এলো সবুজ শ্যামলে ছাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। বৃক্ষ ও লতাপাতার মাঝে সজ্জিত বকুলতলার মঞ্চ থেকে উৎসারিত হয়েছে শরতের প্রতি বাঙালির চিরন্তন অনুুরাগ-ভালোবাসা। সকাল থেকে রাত অবধি বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শরৎ উৎসব।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর এ আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হয়েছে রাজধানীবাসী। শিকড়সন্ধানী মানুষ সাতসকালে উপস্থিত হয়েছিলেন উৎসব আঙিনায়। সাদা, নীল ও আকাশি রঙের পোশাক পরে তাঁরা যোগ দিয়েছেন শরৎ বন্দনায়। প্রাণবন্ত উৎসবমুখর এ আয়োজনে তাঁদের সঙ্গী হয়েছিল গানের সুর আর নাচের ছন্দ।
কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে আশ্বিনের সকালটি রাঙিয়ে দেন বাচিক শিল্পী নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। আবৃত্তি করেন নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘কাশফুলের কাব্য’। এর বাইরে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে শিশু-কিশোর সংগঠন শিল্পবৃত্ত। সম্মেলক সংগীত পরিবেশন করে পঞ্চভাস্বর, সমস্বর, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) ও শিশু-কিশোর সংগঠন সুরবিহারের শিল্পীরা। শাস্ত্রীয় থেকে আধুনিক ধারার নাচ পরিবেশন করেছেন স্পন্দন, ভাবনা, বাফা, নৃত্যাঙ্গ এবং পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের নৃত্যশিল্পীরা।
আলোচনা পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তব্য দেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি নৃত্যশিল্পী অধ্যাপক নিগার চৌধুরী।
আলোচনা শেষে শুরু হয় শিশু-কিশোরদের উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। খুদে শিল্পীরা রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে শরতের নানা রূপ। এরপর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব। বিকেল থেকে রাত অবধি পরিবেশিত হয়েছে শিশু-কিশোরদের দলীয় আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশনা। ছোটদের সঙ্গে ছিল বড়দের একক ও দলীয় নাচ, গান ও আবৃত্তি।