সোমবার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত সূচি অনুযায়ী—
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে,
১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে এবং
২৬ সেপ্টেম্বর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে জামায়াত।
এর আগে গত রোববার একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। আজ সোমবার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ও আবদুল বাছিত আজাদের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
গত শনিবার এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ এবং নেজামে ইসলাম পার্টিও বৈঠকে বসে। তবে পিআর পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে তারা যুগপৎ আন্দোলনে থাকছে না। যেমন—
এনসিপি, এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ শুধু উচ্চকক্ষে পিআর চায়,
কিন্তু জামায়াত উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি দাবি করছে।
যদিও এই দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের সহযোগী দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সমর্থন জানিয়েছে।
বিএনপি বলছে, জুলাই সনদের সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, যা আগামী সংসদে পরবর্তী দুই বছরে করা যাবে। কিন্তু জামায়াত নির্বাচন পূর্বেই সংবিধান সংশোধন ও সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবি করছে। তারা চাইছে, প্রভিনশিয়াল সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে এ সনদ বাস্তবায়ন হোক।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. তাহের বলেন,
“স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে গেলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। অনেক সাংবিধানিক বিধান অকার্যকর হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায় ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকারের বৈধতার উৎস সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের অভিপ্রায়।”
তিনি আরও জানান, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও স্বৈরাচার পুনরাবৃত্তি রোধে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন কাজ করেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে ৮৪টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ভিন্নমতের কারণে কিছু প্রস্তাবে সমঝোতা হয়নি। এর ভিত্তিতে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করেছে। জামায়াত বলছে, সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে আন্দোলন ব্যর্থ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আজাদ, আব্দুল হালিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।