কুষ্টিয়ায় নৌকা ছিদ্র নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫ জন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:১৭ অপরাহ্ণ   |   ১০২ বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় নৌকা ছিদ্র নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫ জন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর একপক্ষ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
 

শনিবার রাতে কাজী গ্রুপের আমজাদ আলী বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, এছাড়া ১৫-২০ জন অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার সকালে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে, এবং গুরুতর অসুস্থ রাজিব প্রামাণিককে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা গ্রামে মন্টু কাজী গ্রুপ ও আদালত প্রামাণিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কাজী গ্রুপ মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত এবং তাদের বেশ কয়েকটি নৌকা পদ্মা নদীতে রাখা ছিল।
 

শনিবার দুপুরে প্রামাণিক গ্রুপের সালাম কাজী গ্রুপের পাঁচটি নৌকার ছিদ্র করার চেষ্টা করলে ধরা পড়েন। তাকে কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সালাম তার পক্ষের লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ কাজী পাড়ায় হামলা চালান, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—আদালত প্রামাণিক (৬০), তার ছেলে জিসান প্রামাণিক, তাহের প্রামাণিকের ছেলে রাজিব ও রাকিব, হাসেম সরদারের ছেলে শুভ, আজমতের ছেলে রাহিম, শহীদ কাজীর ছেলে সালাম কাজী, মিজানুর রহমান মন্টু, বিল্লাল হোসেন, শহীদ হোসেন, মন্টু কাজী, ঝন্টু কাজী, জিন্দার শিকদার, সাইদুল শিকদার ও সাজেদা খাতুন।
 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—আদালত প্রামাণিক, রাকিব প্রামাণিক, ইতি খাতুন এবং রাজিব প্রামাণিক (পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন)।
 

প্রামাণিক গ্রুপের দাবি, কাজী গ্রুপের লোকজন তাদের এক সদস্যকে আটকে রেখেছিল। পরে খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় ও লুটপাট করে।
 

কাজী গ্রুপের মামলার বাদী আমজাদ আলী বলেন, “প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন আমাদের নৌকা ছিদ্র করেছে, এরপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে, তাই আমরা মামলা করেছি।”
 

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, “একপক্ষ মামলা করেছে, তবে অপরপক্ষ এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”