সরকারের শুভবুদ্ধি উদয়ের সম্ভাবনা নেই। জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। মঙ্গলবার (৩০ মে) জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলানগরে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদেরকে পরাজিত করার জন্য সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আজকের সেই সময়ে আমরা আমাদের এই মহান নেতার শাহাদত বার্ষিকী পালন করছি। আমাদের সমগ্র জাতির কাছে তা প্রাসঙ্গিক।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আগামীতে আবারও সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেজন্য সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাজা দিচ্ছে। একতরফা কারচুপির নির্বাচনের পথে হাঁটছে সরকার।’
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাজার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, মামলাগুলোর রায়ে বোঝা যায় সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমাদেরকে দমন করতে চায়। তারা নানাভাবে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। এ আন্দোলনে এক দিনের না দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছি।
এ মামলার রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি এটা একটা ফরমায়েশি রায়। এ ধরনের রায় দিয়ে কোনো আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আদায় করবে। আগামী নির্বাচনে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। আমাদের দাবি তাদের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এই অবস্থান থেকে এক মুহূর্তের জন্য আমরা সরে দাঁড়াবো না।
এর আগে মির্জা ফখরুল দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান সহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।