ঢাকা প্রেস নিউজ
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এর ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক চুক্তি সুন্দরবনের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জরুরী পরিবেশগত হুমকি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু:
সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ এবং মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ইন বাংলাদেশ (এসওএনজি) প্রকল্প: এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল উপকূলীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে জেলে, নারী ও যুবকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র সংরক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে।
সুন্দর-বে প্রকল্প: এই আঞ্চলিক উদ্যোগটি মার্চ ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর লক্ষ্য হল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয় উন্নত করা, সুন্দরবন রক্ষায় সহায়তা করা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইকোসিস্টেম পরিষেবা নিশ্চিত করা।
চুক্তির গুরুত্ব:
এই চুক্তিগুলি কেবলমাত্র সুন্দরবনের জন্যই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্যও একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারণ:
জীববৈচিত্র্য রক্ষা: সুন্দরবন বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র। এই চুক্তিগুলি এই অমূল্য জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা: ম্যানগ্রোভ বন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণে অত্যন্ত কার্যকর। এই চুক্তিগুলি ম্যানগ্রোভ বন রক্ষা করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত: টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করে এবং পরিবেশগত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এই চুক্তিগুলি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
এই চুক্তিগুলো সুন্দরবন এবং উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।