মোঃ শফিকুল ইসলাম চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ-
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী থেকে বানেশ্বর যাওয়ার এক মাত্ররাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। চরম ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারী ও এলাকাবাসী। এতে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ দিন ধরে রাস্তাটির এমন করুন দশা সৃষ্টি হলেও রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। ফলে প্রায় ৮/১০ টি গ্রামের এক মাত্র ভরসার রাস্তাটি নিয়ে চরম বেকায়দায় এলাকাবাসী।
জানা যায়, চারঘাটের নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছী থেকে বানেশ্বর সহ রাজশাহীর সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র রাস্তা গত ৪ দিনধরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ভেঙ্গে পড়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সব ধরণের যানবাহন বন্ধ সহ স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। চরম ঝুকি নিয়ে কোনভাবে পায়ে হেটে রাস্তা পারা পার করতে পারলেও সব ধরণের যানবান বন্ধ রয়েছে। এতে জরুরী প্রয়োজনে রোগীসহ হালকা বা ভারী যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন। ভাঙ্গা রাস্তার কাছ গিয়ে ফিরে এসে বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঘুরে বানেশ্বরসহ রাজশাহী যেতে অনেক সময় লাগছে। এতে করে ওই রাস্তায় চলাচলকারী ৮/১০ টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মিনি ট্রাকের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, এ রাস্তা দিয়ে মাল বোঝায় ট্রাক নিয়ে রাজশাহী থেকে নন্দনগাছী যাওয়ার সময় এসে দেখি রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। এখন বিকল্প রাস্তা দিয়ে নন্দনগাছী বাজারে মালামাল পৌছাতে চরম বেকায়দায় পড়েছি। গুরুস্তপুর্ণ এ রাস্তাটির এমন দশায় মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ওই রাস্তা চলাচলকারী আবু সাঈদ হিরু বলেন, গুরুস্তপুর্ণ এ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা জরুরী প্রয়োজনে বানেশ্বর ও রাজশাহী যেতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকেই রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর জানতে না পেরে এ রাস্তাদিয়ে যেতে গিয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পুঠিয়া হয়ে ঘুওে যাচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই খরচ বাড়ছে। দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের উদ্দ্যোগ গ্রুহনের দাবী জানিয়েছেন এ রাস্তা চলাচলকারী স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায়একটি কালভার্ট ছিলো। সেটির এক পাশ ভেঙ্গে কাজ করার সময় বৃষ্টির পানিতে অপরপাশও ভেঙ্গে গেছে। তবে সাধারন পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার।