ধারালো বঁটি দিয়ে প্রেমিকার গলা কেটে হত্যার সাত দিন পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় মিরাজ রহমান (১৯) থানায় গিয়ে বলেন, ‘স্যার, আমি একটা অন্যায় করে ফেলেছি। আমার প্রেমিকাকে আমি মেরে ফেলেছি।’
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকায় ২৪ ডিসেম্বর। পরে পুলিশ মিরাজকে আটক করে এবং তাঁর দেওয়া তথ্যমতে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মারিয়া আক্তার ওরফে ঝর্ণা (১৯) গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ী তালতলী এলাকার মুকুল হোসেনের মেয়ে। আটক মিরাজ মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মিরাজ রহমান স্থানীয় একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মারিয়া আক্তারও তাঁর সঙ্গে একই ক্লাসে লেখাপড়া করতেন। সেখান থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু নানা বিষয় নিয়ে মারিয়ার প্রতি সন্দেহ দেখা দেয় মিরাজের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি এবং ঝগড়াবিবাদ হয়। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ২৪ ডিসেম্বর মারিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান মিরাজ। এরপর বঁটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন তাঁকে। লাশ গোসলখানায় নিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন। শনিবার রাতে মারিয়ার লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে মিরাজ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আজ সন্ধ্যার দিকে থানার সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পরে থানার কনস্টেবলরা তাঁকে ভেতরে নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জানান।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, মারিয়া আক্তারকে ধারালো বঁটি দিয়ে গলা কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে বাথরুমে নিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন মিরাজ। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।