ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রথম অবস্থায় ঘরে তুলতে পারায় এই জাতের ধান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এই ধান কাটার পর একই জমিতে আলু, সরিষা, পিঁয়াজ-সহ অন্যান্য ফসল ফলিয়েও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় পাকা আমন ধানের সোনালী রং-এ সেজেছে কৃষকের ফসলি মাঠ। মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালী রূপ। চারিদিকের সোনালী ফসলের সমারোহ। মাঠজুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষজন ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আমন ধান চাষ করা হয়েছিল।
কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় উঁচু জমিতে কৃষকরা বিভিন্ন জাতের আগাম ধান আবাদ করেছেন। এসব জাতের ধানের ফলনও ভালো হয়, আবার কার্তিকের শুরুতেই ঘরে তোলা যায়। সেই সঙ্গে উৎপাদিত খড় দিয়ে গো-খাদ্যেরও সংকট অনেকাংশে মেটানো সম্ভব হয় তাদের।
কৃষকরা বলছেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে আগাম জাতের ধানের। সেই সঙ্গে ধান কাটার পর একই জমিতে আলু, সরিষা, পিঁয়াজ-সহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আগাম ২ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছি। কেটে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এখন আবার জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করার চিন্তা করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার আমন মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আমন ধান হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে।