নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে ইংল্যান্ড

প্রকাশকালঃ ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:২৩ অপরাহ্ণ ৫৫২ বার পঠিত
নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে ইংল্যান্ড

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পুড়িয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। জাভি সিমন্সের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন হ্যারি কেইন। ম্যাচ এগোচ্ছিল এক্সট্রা টাইমের দিকে। তবে নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট পৌঁছানোর পর ইনজুরি টাইমে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার অলি ওয়াটকিনসের গোলে জয় পেয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে থ্রি লায়ন্সরা।  বুধবার (১০ জুলাই) ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের শুরুতেই ইংলিশ দর্শকদের স্তব্ধ করে ডাচদের এগিয়ে দেন তারকা জাভি সিমন্স। ডেকলান রাইসের থেকে বল কেড়ে নিয়ে, কিছুটা এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। বুলেট গতির ওই শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক।ম্যাচের ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।    পিছিয়ে পরে আক্রমণের পসরা সাজায় ইংল্যান্ড। মুহুর্মুহু আক্রমণে গিয়ে ডাচ রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয় থ্রি লায়ন্সরা। ইংল্যান্ডের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ভুল করে বসে ডাচরা, ১৬ মিনিটে হ্যারি কেনের শট ফেরাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডামফ্রিস। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডাচ ডিফেন্ডারকে দেখান হলুদ কার্ডও। পেনাল্টিতে অবশ্য কোনো ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক কেইন। সঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও ইংলিশ অধিনায়কের শট ঠেকাতে পারেননি ডাচ গোলরক্ষক।  এদিন ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সে শুরু থেকেই পুরনো ছন্দের ঝলক দেখা যায়। গোল পেয়ে তারা যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো দলটি; বক্সে প্রতিপক্ষের বাধা এড়িয়ে গোলমুখে এগিয়ে গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে শট নেন ফিল ফোডেন, একবারে গোললাইন থেকে আটকান ডামফ্রিস।  নেদারল্যান্ডসও গোল পেতে পারতো। এবার বাঁধা হয়ে উঠেন পিকফোর্ড। হেডের বল মুহূর্তেই উপরে দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। তাছাড়া ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডামফ্রিসের হেড বারে না লাগলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো। এমন উত্তেজনার মাঝে ফোডেন দুর্ভাগ্য যেন আবার ফিরে আসে। ডাচদের পর পোস্ট হতাশ করে ইংল্যান্ডকেও। ৩২ মিনিটে ডাচ বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের নেয়া শট ফিরে আসে ফিরে আসে পোস্টে লেগে। প্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।  বিরতির পর খেলার গতি কমে আসে অনেকটাই। প্রথমার্ধে গোলের জন্য মাত্র তিন শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে পারা নেদারল্যান্ডস ৬৪তম মিনিটে দ্বিতীয়বার গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে। এবার অবশ্য পরাস্ত হননি জর্ডান পিকফোর্ড; ভার্জিল ভ্যান ডাইকের হাফ ভলি ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক।  ম্যাচের ৭৯ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে কাইল ওয়াকারের পাসে গোল করেন বুকায়ো সাকা। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় গোলটি। এর পরপরই খেলায় গতি ফেরাতে একসঙ্গে কেইন ও ফোডেনকে তুলে নেন ইংল্যান্ড কোচ, বদলি নামেন দুই ফরোয়ার্ড পালমার ও ওয়াটকিন্স। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি নেদারল্যান্ডস। ৮৮ মিনিটে একইভাবে সুযোগ হাতছাড়া করে ইংল্যান্ডও।  তবে ৯০ মিনিটে আর সুযোগ মিস করেননি ওয়াটকিনস। ডান দিক থেকে পালমারের পাস বক্সে ধরে, শরীর ঘুরিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে কোনাকুনি শট নেন ওয়াটকিনস। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা। তাতে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে কোনও মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিলো থ্রি লায়ন্স’রা।  শিরোপা লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ স্পেন।