 
                            
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি ও ঢাকা-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাজি রেজাউল কবীর পল। অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী।
 
কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। রেজাউল কবীর পলের দপ্তর সম্পাদক মো. তারিফুর রহমান জানান, “২২ আগস্ট বিকেলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মাঠ ব্যবহারের অনুমতি আমরা আগেই নিয়েছি এবং জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। এরপরও কেন নিপুণ রায় একই মাঠে প্রোগ্রাম করতে চান, তা বোধগম্য নয়।”
 
এ বিষয়ে রেজাউল কবীর পল বলেন, “একটি আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রোগ্রাম করতে পারেন। কিন্তু আমি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠান ঘোষণা দেওয়ার পর তারা হুমকি দিয়ে একই মাঠে সমাবেশ করতে চাইছে। এতে কেরানীগঞ্জের পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠছে।”
 
অন্যদিকে নিপুণ রায় চৌধুরীর বক্তব্য জানতে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
 
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু বলেন, “জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে সমাবেশের জন্য বিএনপির দুই পক্ষই আবেদন করেছে। যেহেতু ২২ আগস্ট কর্মসূচি, তাই আমরা আগে থেকেই সতর্ক থাকব, যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে।”
 
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
 
                                                
                                                 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                         
                                        
                                        
                                    