পাবনা প্রতিনিধি:-
পাবনা, ৯ জুলাই ২০২৫ — আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার সুজানগর উপজেলা বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখ (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার। সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁর অনুসারী আশিক মোবাইলে কথা বলার সময় আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা তার ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি আপাতভাবে মীমাংসা হলেও, বুধবার দুপুরে আবার উত্তেজনা তৈরি হয়।
একপর্যায়ে সুজানগর পৌর সিনেমা হলের সামনে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির জেরে ছাত্রদল নেতা সবুজ ছুরিকাহত হন। খবর পেয়ে মজিবর খাঁর সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে এসে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই মজিবর খাঁ ও আব্দুর রউফ শেখের গ্রুপের মধ্যে দলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনকে নির্বাচন কেন্দ্র পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়ায় রউফ গ্রুপ কোণঠাসা হয়ে পড়ে, যার জেরে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে শেখ আব্দুর রউফ, ইয়াকুব (৩৩), তুষার (৪০), সুজন (৪৫), আসলাম (৩৬) ও মনজেল (৪৫) রয়েছেন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতাল, সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মাদ মাসুম প্রধান বলেন, “এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দলীয়ভাবে যারাই এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সুজানগর থানার ওসি মো. মুজবির রহমান বলেন, “পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”