চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে, যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে

প্রকাশকালঃ ০৪ জুন ২০২৪ ০৫:৪২ অপরাহ্ণ ২২২ বার পঠিত
চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে, যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে

মাথায় ঘন চুল থাকবে এমনটাই স্বপ্ন সব নারী-পুরুষের। কিন্তু এ স্বপ্ন কি আর বাস্তবে সম্ভব হয়? এমন অনেকেই আছেন যাদের মাথা থেকে প্রতিদিনই প্রচুর চুল উঠে। চুল পড়া রোধে বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহারেও কার্যকরী কোনো উপকার পাওয়া যায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবে দুশ্চিন্তায় থাকেন তারা।

 

চুল পড়ার সমস্যা না কমার কারণে অনেকের স্ট্রেসও বাড়তে থাকে। সবমিলে দুশ্চিন্তা এড়াতে নতুন চেষ্টা শুরু হয় আবার। তবে সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া রোধ অনেকটাই সম্ভব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, সম্প্রতি চুল পড়ার কারণ ও রোধে কথা বলেছেন কলকাতার বিশিষ্ট ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অপরাজিতা লাম্বা। এবার তাহলে তার ভাষ্যমতে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

 

দিনে কত চুল পড়তে পারে

কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা বা অ্যালোপেসিয়ার মতো অসুখ না থাকলে দিনে অন্তত ১০০টি চুল ঝরে পড়া স্বাভাবিক। এই পরিমাণ চুল উঠলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটি স্বাভাবিক বিষয়।

 

চুল উঠা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা

চুল ঘন ও লম্বা হলে উঠে পড়া ১০০টি চুল অনেক বেশি পরিমাণ মনে হতে পারে। আবার চুল পাতলা ও ছোট হলে এই পরিমাণ চুল এক ঝলক দেখলে খুবই কম মনে হবে। এ কারণে কেউ কেউ মনে করেন চুল কেটে ফেললে উঠে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়। আসলে বিষয়টি তা নয়।

 

স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা

স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকলে চুল পড়াও অনেকাংশে কমে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এ জন্য নিয়মিত শ্যাম্পু করে স্ক্যাল্প ক্লিনজিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ভালো করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। তারপর অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। এরপর ধীরে ধীরে মাসাজ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। আর সপ্তাহে এভাবে তিনদিন স্ক্যাল্প ক্লিনজিং করলে দুর্দান্ত উপকার মিলবে।

 

এছাড়া চুলের টেক্সচার উন্নত করতে ও গ্রোথ বাড়াতে নিয়মিত হেয়ার গ্রোথ সিরামও ব্যবহার করতে পারেন। সিরামগুলো স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং ফলিকলে পরিমাণমত পুষ্টি পৌঁছে দেয়। এতে অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বিপরীতে চুলের বৃদ্ধিও ভালো হয়।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ: স্ক্যাল্পে কোনো সমস্যা থাকলে বা চুলের কোনো চিকিৎসা চলমান থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো উপাদান ব্যবহার করা উচিত হবে না। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে