ঘোষিত প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিম (উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, ২০১৮-১৯)। এজিএস পদে রয়েছেন বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ২০১৮-১৯)।
প্যানেলে বিভিন্ন সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন—
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন: আরিফুল ইসলাম
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: এহসানুল ইসলাম
কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া: চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা
আন্তর্জাতিক: মো. মেহেদী হাসান
সাহিত্য ও সংস্কৃতি: আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান
ক্রীড়া: চিম চিম্যা চাকমা
ছাত্র পরিবহন: মো. সাইফ উল্লাহ (সাইফ)
সমাজসেবা: সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক
ক্যারিয়ার উন্নয়ন: মো. আরকানুল ইসলাম রূপক
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ: আনোয়ার হোসাইন
মানবাধিকার ও আইন: মো. মেহেদী হাসান মুন্না
সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, মো. হাসিবুর রহমান সাকিব, মো. শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত আলিফ, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, সামসুল হক আনান ও নিত্যানন্দ পাল। তবে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলায় আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর প্রতি সম্মান জানিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদটি শূন্য রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “প্যানেলে আমরা ছাত্রসমাজের পরিচিত ও জনপ্রিয় নেতৃত্বকে স্থান দিয়েছি। এটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত, কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়া।”
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অভিযোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এখনও ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব চলছে। প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। একইভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর কিছু শিক্ষকও বহাল তবিয়তে রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।
