গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে সরকারঃ মির্জা ফখরুল

প্রকাশকালঃ ২৪ জুলাই ২০২৩ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ ১৭১ বার পঠিত
গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে সরকারঃ মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে। বিএনপির কর্মসূচি ব্যাঘাত ঘটাতে সমাবেশের দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখছে। বিটিআরসিকে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নের বিরুদ্ধে নতুন আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি সুস্পষ্টভাবে ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন।

রোববার (২৩ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কারণে শুধু বিএনপির নেতা-কর্মী নয়, মুক্তমনা মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিরোধীদল দমনে ডিজিটালাইজেশনসহ ইন্টারনেট শাটডাউনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। সরকার পতনের চলমান এক দফা আন্দোলনের সম্পূরক হিসেবে আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক ইন্টারনেট শাটডাউন, নজরদারি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, মোবাইল ফোন তল্লাশিসহ সকল ধরনের ডিজিটাল নির্যাতনের অপব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।


তিনি বলেন, এই সরকারের নিয়ন্ত্রণে সাইবার প্রযুক্তি এবং ডিজিটালাইজেশন হয়ে উঠছে জনগণের জন্য এক বিভীষিকাময় আতঙ্কের নাম। সম্প্রতি বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট শাটডাউনের ঘটনায় সেটি আবারও প্রমাণিত হল। দেশবাসী আশঙ্কা করছে ক্রমে জটিলতর হয়ে ওঠা আগামী দিনের রাজনীতিকে সামনে রেখে জনগণের ডিজিটাল অধিকারকে আরও সঙ্কুচিত করার চেষ্টা করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ফোন কেড়ে নিয়ে ক্লোন করে তথ্য নিচ্ছে। অন্যের ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা জানি না। তবে এটা আমার স্বচক্ষে দেখা। একবার বিদেশে যাওয়ার সময় আমার টেলিফোন গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা জোর করে নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার ফেরত আসল এবং বলল, এটা খুলে দেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তারা ক্লোন করল এবং সব তথ্য নিয়ে গেল। বিষয়টা আজকে প্রকাশ্যেই বললাম আমি। এভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার হয়, নির্যাতন হয় এবং এইটা আমার ওপরই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, মোর্শেদ হাসান খান,মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, আলী মাহমুদ ও শায়রুল কবির খানসহ আরও অনেকে।