ঢাকা প্রেস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:-
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, "শুধু মুখ বদলেছে, কিন্তু চাঁদাবাজি ও গুন্ডামির ধারা অপরিবর্তিত রয়েছে।" তিনি সোমবার জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে আয়োজিত এক গণসমাবেশে এই মন্তব্য করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জয়পুরহাট শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আপনি কি ভেবেছেন, এই আন্দোলন কারা করছে? আপনি যার ইচ্ছে তাকে উপদেষ্টা বানাবেন, যার ইচ্ছে তাকে ক্ষমতা দেবেন—এটা জনগণ মেনে নেবে না। আমরা কোনো নাস্তিক বা সমকামীকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই না। দেশ সঠিকভাবে পরিচালনা করুন, না হলে দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।"
ফয়জুল করীম আরও বলেন, "আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর মানুষের জন্য সাম্য ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবে যা দেখছি তা হলো চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারি, মিথ্যা মামলা, জুলুম ও অন্যায়। আমরা বহু সরকার ও নেতার পরিবর্তন দেখেছি, কিন্তু মানুষের শান্তি পরিবর্তন দেখিনি। শুধু নেতা বদলেছে, নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন হয়নি। আগে চাঁদাবাজ ছিল মিন্টু, এখন সেন্টু। আগে গুন্ডামি করত রেন্টু, এখন পিন্টু। শুধু মুখ বদলেছে, কিন্তু চাঁদাবাজি ও গুন্ডামি অপরিবর্তিত।"
তিনি বলেন, "হাজারবার নেতা ও দল পরিবর্তন হলেও শান্তি আসবে না, যতদিন পর্যন্ত ন্যায়পরায়ণ ও আল্লাহভীরু শাসক না আসবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আজও অনেক অফিসে টুপি পরে ঢোকা যায় না, দাড়ি রাখলেই অপমান করা হয়, মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলা হয়।"
তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের পর বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন আলেম ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। "এ দেশ মুসলমানদের, অন্য কারও নয়। ইসলামি আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হওয়া উচিত। যদি ইসলামি অর্থনীতি চালু হয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে গরিব থাকবে না। বর্তমান অর্থনীতি গরিবকে আরও গরিব বানাবে, আর ধনীদের আরও ধনী করবে।"
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল হক আজাদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ মিনহাজুল ইসলাম, এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান মাহমুদ।