জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে পার্লামেন্টে তীব্র বিতর্ক

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:০৭ অপরাহ্ণ   |   ৩৮ বার পঠিত
জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে পার্লামেন্টে তীব্র বিতর্ক

ভারতের জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার লোকসভায় অনুষ্ঠিত আলোচনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সরকারি দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে একসময় সরগরম হয়ে ওঠে সংসদ। বিতর্কের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
 

লোকসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে মোদি অভিযোগ করেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৭৫ সালে রচিত ‘বন্দে মাতরম’-এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অংশ তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাদ দিয়েছিল। এই অভিযোগ সামনে এনেই তিনি গানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও স্বাধীনতা আন্দোলনে এর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বক্তব্যে মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী সূর্য সেনকে ‘মাস্টার সূর্য সেন’ বলে উল্লেখ করেন। পুলিনবিহারী দাসের নাম ভুল উচ্চারণ করায়ও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
 

মোদি বলেন, “আমাদের স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। এটি বলিদানের প্রেরণা জুগিয়েছে। এখন সময় এসেছে এর ঐতিহ্য নতুন করে তুলে ধরার।” তিনি আরও দাবি করেন, কংগ্রেস তুষ্টিকরণ নীতির অংশ হিসেবে গানটিকে দুর্বল করেছে এবং মুসলিম লীগের সামনে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছিল।
 

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সাংসদ গৌরব গগৈ প্রশ্ন তোলেন, “যখন লাখো মানুষ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছিলেন, তখন বিজেপির পূর্বসূরিরা কোথায় ছিল?” তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পুনর্লিখনের চেষ্টা করছে বিজেপি।
 

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও মোদির বক্তব্যের নিন্দা করেন। তাঁর অভিযোগ, দেশের প্রকৃত সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে এবং পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইচ্ছাকৃতভাবেই ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে বিজেপি।
 

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৮২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস আনন্দমঠ-এ প্রথম স্থান পায় ‘বন্দে মাতরম’। ১৯৫০ সালে এটি ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। খবর এনডিটিভি।