আন্দোলন মোকাবিলা ও সংঘাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ১৪ দূতাবাস। সেই সঙ্গে চিঠিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সংকটে নতুন করে প্রাণহানি এড়াতে এবং সকল পক্ষকে চলমান সংকটের টেকসই সমাধান খোঁজারও তাগিদ দেয়া হয়েছে। গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে দেয়া এক চিঠিতে দূতাবাসগুলো এ পরামর্শ দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস এ চিঠি দেয়। দূতাবাসগুলো চিঠিতে আটক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণের তাগিদ দিয়েছে। সেই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখার কথাও বলেছে দূতাবাসগুলো।
দূতাবাসগুলো মনে করে, টানা কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নাগরিকদের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে। ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যোগাযোগ চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে দূতাবাসগুলো যত দ্রুত সম্ভব সারা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি চালু করতে অনুরোধ জানিয়েছে।