প্রকাশকালঃ
১২ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ ৪৩৪ বার পঠিত
নিউ জিল্যাণ্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় নারী ও পুরুষের সংখ্যা সমান হল। ২০২০ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্নের অধীনে দেশটি তাদের সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ পার্লামেন্ট নির্বাচন করেছিল; সেই পার্লামেন্টে নারী, মাউরি আদিবাসী ও সমকামী সদস্যের সংখ্যা বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। খবর গার্ডিয়ানের।
এখন দেশটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার নিয়ে থাকা মন্ত্রিসভায়ও লিঙ্গ সমতা পেল; নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রিসভায় স্থান পান জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা, যারা গুরুত্বপূর্ণ নীতি, আইন ও সরকারি ব্যয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার বিকালে দেশটির এখনকার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদলে এমপি উইলো-জঁ প্রাইমকে সংরক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রী করার ঘোষণা দিলে মন্ত্রিসভায় নারী ও পুরুষের সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মানে হচ্ছে, আমরা আরও নিবিড়ভাবে জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি মনে করে, একটি চমত্কার মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। আমরা এই মেয়াদেই এই পার্লামেন্টে ৫০-৫০ প্রতিনিধিত্ব অর্জন করেছি, আমার মনে হচ্ছে এটি স্বাগত জানানোর মতো বিষয়, আর এখন আমাদের মন্ত্রিসভার টেবিলের চারপাশেও সেই ধরনের প্রতিনিধিত্ব আছে।” মন্ত্রিসভার বাইরের মন্ত্রীদের হিসাবে নিলে নিউ জিল্যান্ডের নির্বাহী বিভাগে এখন পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটিতে ব্যাপক বৈচিত্রপূর্ণ নির্বাহীদের ক্ষমতায় উঠে আসতে দেখা যায়। সেবার নির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রায় ১০ শতাংশ সদস্য নিজেদের সমকামিতার কথা প্রকাশ্যে বলছেন। এদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও আছেন। ওই নির্বাচনে নিউ জিল্যান্ডের ১২০ আসনের পার্লামেন্টে আদিবাসী মাউরি সম্প্রদায়েরই ২৫ জন জিতে আসেন, যা মোট আসন সংখ্যার ২০ শতাংশেরও বেশি। এছাড়াও এই পার্লামেন্টে প্রশান্ত মহাসাগরীয় জনগোষ্ঠীর ৯ শতাংশ এবং চীনা, ইরিত্রিয়া, ভারতীয়, ইরানি, কোরীয়, মালদ্বীপ, মেক্সিকো ও শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূতসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর আরও ৯ শতাংশ এমপি স্থান পেয়েছে। নর্থল্যান্ডের এমপি প্রাইম সংরক্ষণের পাশাপাশি যুবমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন, তিনি স্বাস্থ্য এবং শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগী মন্ত্রীরও দয়িত্ব পালন করবেন।
হিপকিন্স বলেছেন, মন্ত্রিসভায় নারী-পুরুষ সমতা তাকে তৃপ্ত করলেও, প্রাইমকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি (জেন্ডার সমতা) প্রধান ভূমিকা পালন করেনি। “মন্ত্রিসভায় তিনি যে খুব্ই সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, সে বিষয়ে আমার আস্থা আছে,” বলেছেন তিনি।