প্রকাশকালঃ
০৬ জুলাই ২০২৪ ০৩:৪১ অপরাহ্ণ ৪৪৬ বার পঠিত
বর্তমানে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বাড়ছে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বা টিআরপির। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সনদধারী তালিকাভুক্ত টিআরপিরা পান সরকারি প্রণোদনা। কাজের ধরন, যোগ্যতা, আবেদনপদ্ধতি, আয়-রোজগার, পেশাগত পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ। টিআরপির কাজ: রিটার্ন প্রস্তুতকারী বিধিমালা ২০২৩-এর বিধি ৫ অনুসারে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বা টিআরপি হলেন রিটার্ন প্রস্তুতের কাজে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি। কর অভিজ্ঞান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ টিআরপি সনদধারী ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল করতে পারবেন। একজন টিআরপির মূল কাজ হলো—
দায়িত্বশীলতার সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে এমন ব্যক্তিদের আয়ের রিটার্ন যথাযথভাবে প্রস্তুত করা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল করতে হয় তাদের। সব শেষে রিটার্ন দাখিলের একটি কপি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে সরবরাহের কাজও টিআরপি সনদধারীদের করতে হয়। রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ বা পিএসআরের একটি কপি নিজে সংরক্ষণে রাখুন।
যোগ্যতা কী: বিসিএস (কর) একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, টিআরপি তালিকাভুক্তির কর অভিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে ন্যূনতম স্নাতক বা সমমান পরীক্ষায় পাস হতে হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে কর্মরত নয়, আয়কর সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ও কম্পিউটার-ইন্টারনেট বিষয়ে ব্যাবহারিক জ্ঞান থাকতে হবে। প্রার্থীদের নিজের টিআইএন সনদ ও আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ থাকতে হবে। তবে আইনের ধারা-৩২৭ অনুয়ায়ী কর আইনজীবী হিসেবে স্বীকৃত কোনো ব্যক্তি টিআরপি হওয়ার আবেদন করলে তিনি পরীক্ষা ছাড়াই টিআরপি সনদ পাবেন।
পরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রস্তুতি: টিআরপি তালিকাভুক্তির বাছাইয়ে লিখিত ও ব্যাবহারিক বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রফেশনাল ভ্যাট, ট্যাক্স এবং কম্পানি উপদেষ্টা, আইডিয়াল ল কলেজের প্রভাষক ও ঢাকা ট্যাক্স বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আইনজীবী আরিফুর রহমান প্রধান জানান, কর অভিজ্ঞান পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রকাশিত আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী (টিআরপি) সহায়িকা-২০২৩।
এ ছাড়া আয়কর আইন, ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন, কম্পিউটার ও আইসিটি, ট্যাক্স অ্যাকাউন্টিং ও সাধারণ বিষয়াবলি নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। ব্যক্তির আয়করের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের করের হিসাব কিভাবে করতে হয়, সে ব্যাপারেও ধারণা থাকতে হবে। আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা: টিআরপি সনদধারী ব্যক্তিরা এই স্বাধীন পেশার মাধ্যমে ভালো আয়-রোজগার করছেন। পাশাপাশি অন্য কোনো পেশা বা কাজেও সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। একজন টিআরপিকে সরকারি কমিশন বা প্রণোদনা ভাতা দেওয়া হয়। ভাতা নির্ধারিত হয় তাঁর কাজের ভিত্তিতে।
আবেদন যেভাবে: পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে (http://bcsta.teletalk.com.bd) ১০ জুলাই ২০২৪ বিকেল ৫টার মধ্যে। আবেদন জমার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ১১১২ টাকা পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বিসিএস (কর) একাডেমির ওয়েবসাইটে।