আওয়ামী দোসর অনলাইন একটিভিস্ট মহসিনের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৩:১৭ অপরাহ্ণ   |   ৪৪ বার পঠিত
আওয়ামী দোসর অনলাইন একটিভিস্ট মহসিনের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ:


 

নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা। এ পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশ থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আওয়ামী সমর্থিত কয়েকটি অনলাইন একটিভিস্ট গ্রুপ। পুরনো ও নতুন ভিডিও, ভুয়া তথ্য ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিদেশ থেকে অনলাইনে বসেই মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
 

এমনই এক অনলাইন একটিভিস্ট লন্ডনপ্রবাসী মোহাম্মদ মহসিন। নারায়ণগঞ্জ থেকে তার বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্ররোচনামূলক পোস্ট ও ভিডিও প্রকাশ করে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে দেশে নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত আছেন। জেলা পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মহসিনের এসব কর্মকাণ্ড স্থানীয় শান্তি ও আইনশৃঙ্খলার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে।
 

বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সাম্প্রতিক ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে আগুন লাগানোসহ একাধিক ঘটনার সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মহসিন বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করায় তাকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানায়, তিনি দেশে ফিরলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, মহসিন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য এ.কে.এম. শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। তাদের দাবি, ২০২৪ সালে তার প্ররোচনায় আওয়ামী কর্মীরা সাধারণ ছাত্র ও জনগণের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
 

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ উপজেলা জামাতে ইসলামী নেতা মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, “মহসিন একজন ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি। তিনি বারবার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। নারায়ণগঞ্জের তৌহিদি জনতা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।”
 

ফতুল্লা বাজার জামে মসজিদের এক ইমাম জানান, “মহসিন বহুদিন ধরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন মন্তব্য করে আসছেন। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ নিজেরাই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাবে।”
 

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতার সময় মহসিনের অনলাইন প্ররোচনার ভূমিকা ছিল—এমন দাবিও করেছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা। তারা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন।
 

ফতুল্লা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “বিদেশে অবস্থানরত কেউ যদি দেশের আইনের আওতায় আসে, তবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 

স্থানীয় জনগণ, জুলাই আন্দোলনের কর্মী ও বিএনপি–জামায়াত নেতাকর্মীরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে মহসিনকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হোক।