কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং এর পরবর্তী সহিংসতা বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির একটি জটিল সমস্যার প্রতিফলন। এই ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক অসামান্যতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্পর্কিত গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
বৈঠকের পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে অন্যান্য মন্ত্রীও তাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছেন, সেসব তথ্য পর্যালোচনা করে মন্ত্রিসভা দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘একটি হলো ওইদিনের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে সংঘাতের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের জন্য একটি শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা। সেই প্রস্তাবটা আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় যেটি করা হয়েছে, মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে। সেই শোক পালনের অংশ হিসেবে কালোব্যাজ ধারণ করা হবে। মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রার্থনা করা হবে।’
শোক পালনের সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে কি না- এ বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি সেটি আপনাদের জানিয়েছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কতজন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনি গতকাল (সোমবার) ১৪৭ জন বলেছিলেন, আজ (মঙ্গলবার) আরও বোধহয় তিনজন যোগ হয়েছে। তিনি ১৫০ জন (নিহত হওয়ার কথা) বলেছেন।