আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের ঘটনা। পেস তারকা তাসকিন আহমেদের ভয়ংকর এক বাউন্সার গিয়ে লাগে আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদির হেলমেটে। বাউন্সারটি নিচু ছিল, হাসমত মাথা নুইয়ে ছেড়ে দিতে চাইলে বলটি তার মাথায় লাগে। সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যান হাসমত।
উইকেটের পেছন থেকে ছুটে যান অধিনায়ক লিটন। মাঠে প্রবেশ করেন ফিজিও। বেশ কিছুক্ষণ শুশ্রুষার পর হাসমতুল্লাহ উঠে দাঁড়ান। কিন্তু পরক্ষণেই আবার বসে পড়েন।
মাঠে আনা হয় স্ট্রেচার। যদিও শেষ পর্যন্ত সতীর্থের কাঁধে হাত রেখেই মাঠ ছাড়েন হাসমতুল্লা। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে তিনি করেন ১৪ বলে ১৩ রান। পাহাড়সম টার্গেট তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
শরীফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ইব্রাহিম জারদান (০)। রিভিউ নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি। আফগানদের চাপে রাখতে স্লিপে পাঁচ ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। সেইসঙ্গে কখনো ছিল এক গালি এবং এক শর্টলেগ। সব মিলিয়ে কিপারসহ আটজন! দ্বিতীয় ওভারেই শিকারির ভূমিকা নেন তাসকিন।
তার বলে আব্দুল মালিক (৭) ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে। ১২ রানে নেই ২ উইকেট। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৭ রান। আফগান অধিনায়ক ভূপতিত, ছুটে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ছবি : মীর ফরিদ
এর আগে ৪ উইকেটে অবশেষে ৪২৫ রান তুলে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের লিড ছিল ২৩৬ রানের। তাই জয়ের জন্য আফগানদের টার্গেট দাঁড়ায় ৬৬২ রান! গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান আজ বিচ্ছিন্ন হন দ্বিতীয় উইকেটে ১৭২ রানের জুটি গড়ে। অহেতুক রান নিতে গিয়ে জাকিরের ৯৫ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৭১ রানের সাজানো ইনিংসটির করুণ পরিণতি ঘটে। তবে টানা দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।
জহির খানের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১৫১ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১২৪ রান। মুশফিক ৮ রানে আউট হওয়ার পর আরো একটি বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক লিটন দাস আর মুমিনুল হক। দীর্ঘ দুই বছর পর মুমিনুল ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন। লিটনও হাঁকান ষোড়শ ফিফটি। ইনিংস ঘোষণার সময় মুমিনুল ১৪৫ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় ১২১* রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক লিটন অপরাজিত থাকেন ৮১ বলে ৮ চারে ৬৬* রানে। তাদের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১৪৩* রান।