ভাঙ্গায় অব্যাহত মহাসড়ক অবরোধে আজও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে দূরপাল্লার অসংখ্য যানবাহন আটকে আছে পথে, চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ বা প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ ও মিছিল শুরু করেন। একইভাবে সকাল থেকেই ফরিদপুর-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও সুয়াদী পাম্প এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেন তারা।
অবরোধে আটকে পড়া ট্রাকচালক মালেক শেখ বলেন, “পদ্মা সেতু পার হয়ে মুনসুরাবাদে আসতেই ট্রাক থামিয়ে দেওয়া হয়। খুলনা মোংলা বন্দরের পথে ছিলাম, এখন আটকে আছি।”
অন্যদিকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়া কামাল মোল্লা, হাসান শরীফ ও হেমায়েত মাহমুদসহ কয়েকজন জানান, সড়কের এমন পরিস্থিতির কথা তারা জানতেন না। প্রচণ্ড গরমে ভ্যান ও পায়ে হেঁটে যাত্রা করতে হচ্ছে তাদের। পরিবার নিয়ে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়লেও ভাঙ্গাবাসীর দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন তাদের দাবি পূরণের জন্য ৩ দিনের সময় নিয়েছিল। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। অবরোধকারীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে সড়ক থেকে সরে যান, যাতে মানুষের জানমাল ও যাতায়াতের ভোগান্তি কমে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল জানান, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের চারটি পয়েন্টে অবরোধ চলছে। পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করছে। তবে ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, একই দাবিতে গত শুক্রবারও বিক্ষুব্ধরা টানা ৯ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। এরপর গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করেছেন তারা।