মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে নিহত তরুণ প্রদীপ বৈদ্যের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ১১টার দিকে চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত প্রদীপ বৈদ্য কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের বাসিন্দা শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থা ছিল অস্বচ্ছল।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। কুলাউড়ার দত্তগ্রাম সীমান্তের নিকট, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার ইরানী থানার দেবীপুর এলাকায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৮৫২ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে প্রাণ হারান প্রদীপ। ঘটনার ৩৮ ঘণ্টা পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করে।
শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জয়নুল ইসলাম বলেন, "আমার এলাকার দরিদ্র তরুণ প্রদীপকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। সে কোনো ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তার ভাই জয়ন্ত বৈদ্যের সঙ্গে আমরা আজ সকালে চাতলাপুর বন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করেছি। এ ধরনের নিরীহ হত্যাকাণ্ডের আমরা প্রতিবাদ জানাই।"
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, “আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
এ বিষয়ে বিজিবি ৪৬ শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া বলেন, "ঘটনার পরপরই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। দুই এক দিনের মধ্যেই ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।"
