কুমিল্লায় বোরকা পড়ে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গুলি চালানো এক যুবক ও তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্যকারীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে বোরকা পড়ে ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া তিন জনের নামও প্রকাশ করেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- বোরকা পড়ে গুলি চালানো দাউদকান্দির চর চারুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দেলু (৩১) ও আসামিদের পালিয়ে যেতে সাহায্যকারী তিতাস উপজেলার বড় গাজীপুর গ্রামের মো. সহিদুল ইসলাম সাদ্দাম (৩৩)। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ছয়টি মামলা আছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরের শাকতলায় র্যাব-১১ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এ তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে বোরকা পড়ে হত্যায় অংশ নেওয়ারা হলেন- দেলোয়ার ,আরিফ, কালামনির। তাদের মধ্যে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে জামাল হত্যায় এ পর্যন্ত আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। র্যাবের দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে হত্যা করা হয়।
গত রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে বোরকা পড়া তিন দুর্বৃত্ত তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে। জামালে বাড়ি তিতাস উপজেলায় হলেও তিনি ব্যবসা করতেন পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে। বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।