পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নির্মিত মূল মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, কালো মাস্ক পরা একজন ব্যক্তি ঠান্ডা মাথায় মোটিফে আগুন দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি প্রথমে পর্দার আড়ালে গিয়ে মোটিফে কোনো লিকুইড পদার্থ প্রয়োগ করেন। এরপর আড়ালে এসে লাইটার দিয়ে আগুন পরীক্ষা করে মূল মোটিফে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন দেওয়ার পর তিনি যে গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন, সেখান দিয়েই বেরিয়ে যান।’
চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন জানান, আগুন দেওয়া ব্যক্তি জিন্স পরা এবং মুখে কালো মাস্ক পরিহিত ছিলেন। তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভোররাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আগুনে পুরো মোটিফটি পুড়ে যায়। এবারের বর্ষবরণের জন্য তৈরি করা এই মূল মোটিফের নাম ছিল ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার এই মোটিফটি বাঁশ ও বেতের কাঠামোয় তৈরি করা হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাবয়বের পাশে শিংয়ের মতো অবয়বও সংযুক্ত করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি ছিল এবারের শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ।
এই বছর বাংলা নববর্ষের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। সেই চেতনার প্রতিফলনেই নির্মিত হয়েছিল ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ নামের এই শিল্পকর্মটি।
শোভাযাত্রার জন্য এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বড় মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে— কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, শান্তির প্রতীক পায়রা, পালকি, তরমুজ এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল।