ঢাকা প্রেস
জিহাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ( নারায়ণগঞ্জ):-
আওয়ামী লীগের দালালখ্যাত সামারিবাজ দারোগা সাইফুল পাটোয়ারীদের বিচার হবে কি?
নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানা শান্তিপূর্ণ একটি থানাকে নরকে পরিণত করেছিল এই বিতর্কিত সামারীবাজ অর্থলোভী দারোগা সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পুলিশ জনগণের সেবক এ কথাটি মানতে তিনি নারাজ। তার কর্মকাণ্ড দেখে মনে হতো তিনি যেন পুলিশ নয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন ক্যাডার।
এদের মতো পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের কারণে আওয়ামী সরকারের ৫ই আগস্ট ভয়াবহ অধঃপতন ঘটেছে সেই সাথে পুলিশের প্রতি মানুষের ঘৃনার জন্ম দিয়েছে বলে সাধারণ মানুষ ও কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার সর্তে কয়েক জনপুলিশ সদস্যরা ধিক্কারের সাথে জানাই। বিগত বছরগুলোতে বন্দর থানায় পুলিশের এই গ্রেপ্তার বাণিজ্য, সাধারণ মানুষকে হয়রানি, মাদক নিয়ে প্রকাশ্যে বাণিজ্য, বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের অমানুষিক হয়রানি সহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে অযথা মামলা সহ জেল ও রিমান্ডে ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নজির বন্দর থানাবাসী দেখেনি। ২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে ৫ই আগস্ট এর আগ পর্যন্ত বন্দরে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ও হয়রানির বন্দরবাসীর জন্য কলঙ্কের জনক আবদ্ধ আলোচনা করেছেন সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীর মত কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।
টাকার জন্য বিভিন্ন পেশার মানুষের ও তার পরিবার সদস্যদের কলঙ্কিত সহ মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে সাইফুল ইসলাম পাটোরির মত দারোগাদের হাতে । আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ পরিচয়ের নামধারী কিছু অসাধু বিশেষ পেশার দালাল, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গদলের কয়েকজন নেতাদের নিয়ে বন্দরে গঠন করেছিল একটি গ্রেফতার বাণিজ্য সিন্ডিকেট। পুলিশের ওপেন সিক্রেট গ্রেপ্তার বাণিজ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। এমনকি স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ সমাজসেবক ও পেশাদার কিছু সাংবাদিক ও তাদের এই অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিকার হয়েছে। সাইফুলের গড়া গ্রেফতার বাণিজ্য সিন্ডিকেটের কাছে মানুষ ছিল অসহায়। বন্দরবাসী এখনো পুলিশী হয়রানি গ্রেপ্তার বাণিজ্যের কথা নিজের অজান্তে স্মরণ করে আত্মনাত ও অভিশাপ দিতে দেখা যায়।
বন্দরে পুলিশের হাতে নির্যাতিত ও মিথ্যা মামলায় শিকার ভুক্তভোগীরা এসব অসাধু পুলিশদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ অন্তবর্তী কালীন সরকারের নেতৃবৃন্দের কাছে।