হামাসকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিলেন ট্রাম্প

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৯ অপরাহ্ণ   |   ৯৬ বার পঠিত
হামাসকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক

 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উদ্দেশে ‘শেষ সতর্কতা’ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হামাস নেতাদের গাজা ছেড়ে চলে যেতে এবং সেখানে আটক থাকা সকল ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
 

বৃহস্পতিবার আল জাজিরা ও বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 

সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা যদি গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তবে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “এটি আপনাদের জন্য শেষ সতর্কতা! (হামাসের) নেতৃত্বের এখনই গাজা ত্যাগ করা উচিত। এখনও সময় আছে।”
 

তিনি আরও বলেন, “গাজার জনগণের উদ্দেশে আমার বার্তা হলো—একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে যদি আপনারা জিম্মিদের আটকে রাখেন, তাহলে সেটি বাস্তবায়ন হবে না। যদি এমন কিছু করেন, তবে পরিণতি হবে ভয়াবহ। বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিন।”
 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এলো যখন হোয়াইট হাউস ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবারের মতো মার্কিন-ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার যুদ্ধ বন্ধে হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
 

অন্যদিকে, ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ জারি রেখেছে, যার ফলে সেখানকার ফিলিস্তিনিরা চরম খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তাদের মজুদকৃত খাদ্য দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে শেষ হয়ে যেতে পারে।
 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্পের এই সতর্কবার্তা আসে। মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহেলার কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
 

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামাসের সঙ্গে এ ধরনের সরাসরি আলোচনা এক ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা। কারণ, ১৯৯৭ সালে মার্কিন সরকার হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল এবং এর আগে কখনও গোষ্ঠীটির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেনি।
 

এই আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো হামাসের হাতে আটক মার্কিন বন্দিদের মুক্ত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আলোচনা সব বন্দিকে মুক্ত করা এবং গাজার যুদ্ধ বন্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।