ঢাকা প্রেস নিউজ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়কে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক দিনে তাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়কে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটা বরাদ্দ রয়েছে। এই কোটার ভাগাভাগি নিম্নরূপ:
(১) মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান-নাতি: ৩০%। (২)নারী: ১০%। (৩) জেলা কোটা: ১০%। (৪) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী: ৫%। প্রতিবন্ধী: ১%।
১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত: ২০% পদ মেধার ভিত্তিতে, ৮০% কোটায়। ১৯৭৬ সাল: মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০% এ উন্নীত। ১৯৮৫ সাল: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৪৫% পদ মেধার ভিত্তিতে, ৫৫% অগ্রাধিকার কোটায় (মুক্তিযোদ্ধা ৩০%, নারী ১০%, জেলা ১০%, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ৫%)। ২০০০ সাল: প্রতিবন্ধীদের জন্য ১% কোটা চালু, ফলে মোট কোটা ৫৬% এ উন্নীত। ২০১৮ সাল: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সকল কোটা বাতিল করে। ২০২১ সাল: হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০% বহাল রাখে। ২০২৪ সাল: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত রাখে, ফলে সকল কোটা বহাল।
বর্তমান অবস্থা: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। নিয়মিত আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল কোটা বহাল থাকবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে।
উল্লেখ্য: কোটার পদে যদি যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিভিন্ন কোটার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত আছে।