গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:-
গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরপাড়া এলাকায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তালহা মুহিন মোল্লা, যিনি শনিবার সকালে বাড়ির পাশের দোকান থেকে জুস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হন, দু’দিন পর সোমবার ভোরে নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়ার কক্ষে পাওয়া যায় তার লাশ। মুহিনের মরদেহটি ট্রাঙ্কের ভেতরে বস্তাবন্দি অবস্থায় ছিল।
নিহত মুহিন একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাঞ্জারুল ইসলাম মঞ্জু মোল্লার ছেলে এবং রাবেয়া-আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছিল।
পুলিশের ধারণা, মুহিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় বেঁধে ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মুহিনের হত্যাকাণ্ডের পেছনে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্য ছিল। মুহিনের চাচা, ওলিয়ার রহমান মোল্লা জানান, তাদের সন্দেহ, ইউপি সদস্য মঞ্জু মোল্লার টাকা-পয়সার বিষয়ে ধারণা নিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা মুহিনকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে এবং মরদেহটি ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ঘটনার পর মুহিনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ পরে গত রবিবার সন্দেহভাজনদের আটক করে এবং সোমবার ভোরে ভাড়াটিয়া আমিনের ঘরে অভিযান চালিয়ে মুহিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া, আমিনের মা শাহানারা বেগমকেও আটক করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে মুহিনের মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং দুপুরের পর রাবেয়া-আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন আয়োজন করে, যেখানে বক্তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।