ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদেরও হেনস্থার শিকার হতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নগর ভবনে প্রবেশের সময় অপর গ্রুপের নেতা ও সভাপতি আরিফ চৌধুরীর অনুসারীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর জেরে একাধিক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
দুপুর দেড়টার দিকে নগর ভবনের কর্মী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে আরিফুজ্জামান প্রিন্সের অনুসারী সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় ইশরাক সমর্থকরা। আরও এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়, যাকেও পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনা নিয়ে আরিফুজ্জামান প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন, “নগর ভবনে সেবা চালু করতে চাইলেও প্রতিদিন বহিরাগতরা এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছেন, আমরা আজ একত্রে প্রবেশ করলে হামলা চালানো হয়।”
অন্যদিকে, আরিফ চৌধুরীর দাবি, “আমরা প্রতিদিনের মতো শান্তিপূর্ণভাবে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ বহিরাগতরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আটজনকে আহত করেছে।”
এদিকে সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন ইশরাক সমর্থকেরা। নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার মো. আসাদুজ্জামান শিশির বলেন, “ভিডিও করতে গেলে আমার ফোন ছিনিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়, এমনকি ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।”
এনটিভির রিপোর্টার নাজিবুর রহমানও জানান, তিনিও তাঁর ক্যামেরাম্যানসহ হুমকির মুখে পড়েছেন।
