এনবিআরের এক আদেশে জানানো হয়েছে, ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধনজনিত সমস্যার কারণে যদি কোনো করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে না পারেন, তবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের কাছে যুক্তিসহ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
২০২৫-২৬ কর বছরে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সকল ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যেসব করদাতাকে বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তারা ইচ্ছা করলে অনলাইনেই ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
করদাতার পক্ষে তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিও এবার অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
যারা বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়। তবে তারা চাইলে পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ইমেইলসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ereturn@etaxnbr.gov.bd ঠিকানায় পাঠিয়ে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারেন। এরপর আবেদনকারীর ইমেইলে OTP ও Registration Link প্রেরণ করা হয়, যার মাধ্যমে সহজেই রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব।
কাগজপত্র আপলোড ছাড়াই করদাতারা তাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের প্রকৃত তথ্য সিস্টেমে এন্ট্রি করে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ করতে পারছেন।
রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে স্বয়ংক্রিয় সত্যায়ন রশিদ এবং প্রয়োজনীয় তথ্যসহ আয়কর সনদ প্রিন্ট নেওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের কাছে ই-রিটার্ন দাখিল ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে।
ই-রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য এনবিআর গত বছরের মতো এবারও করদাতাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পাশাপাশি করদাতার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি যেমন—আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং চার্টার্ড সেক্রেটারিদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
করদাতাদের দ্রুত সহায়তার জন্য কলসেন্টার (০৯৬৪৩৭১৭১৭১) চালু রাখা হয়েছে, যেখানে ই-রিটার্ন–সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধান মিলছে।
এনবিআর জানিয়েছে, এ বছর প্রায় ১৮ লাখের বেশি ব্যক্তি করদাতা ইতোমধ্যে অনলাইনে ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন, যা ডিজিটাল কর ব্যবস্থায় অগ্রগতির প্রতিফলন।
📌 সময় বাড়ানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিটার্ন দাখিল করার পরামর্শ দিয়েছে এনবিআর, যাতে অতিরিক্ত জরিমানা বা জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা না থাকে।