কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় নাশকতাকারীরা। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পাশাপাশি আগুন দেয়া হয় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতাকারীদের সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতাকারীদের সহিংসতার বিষয়টি উঠে আসে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, অহিংস আন্দোলনের ছত্রছায়ায় এ ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র।
আমরা গত কয়েকদিন ধরে বলে আসছি, আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সব সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি। যারা তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অধিকার প্রয়োগ করছে তাদের সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা যেকোনো প্রতিবাদকারীর সহিংসতার নিন্দা জানাই। যারা তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়েছে তাদেরও নিন্দা জানাই। আমরা সবক্ষেত্রেই সহিংসতার নিন্দা জানাই।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ছত্রছায়ায় নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ম্যাথিউ মিলার। বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি রয়েছে বলে জানান ম্যাথিউ মিলার।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতকারীরা। বিটিভি ভবন, মেট্রোরেল স্টেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, ডেটা সেন্টার, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দুর্বৃত্তরা।