মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার বহুল আলোচিত রায় ঘোষণা করবে। রায় ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কায় সেনা মোতায়েনের জন্য সেনাসদরে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিষয়টি রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা ঘটাতে পারে—এমন উদ্বেগ জনমনে রয়েছে। এ কারণেই ট্রাইব্যুনালের চারপাশে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার রায় বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করতে পারবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিচার প্রক্রিয়া।
গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। অন্যান্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে নেতৃত্ব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।
রায়কে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যেকোনো অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কর্মকর্তারা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।