সেদিন জালালের পক্ষে তার আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ গোলাম মোর্তজা এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট জালালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান। তারও একদিন আগে, ২৫ আগস্ট মধ্যরাতে জালালের বিরুদ্ধে সহপাঠী ও রুমমেট মো. রবিউল হককে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘হত্যাচেষ্টা’র মামলা দায়ের করে। মামলার বাদী ছিলেন হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম। মামলা দায়ের করা হয় রাজধানীর শাহবাগ থানায়।
অভিযোগে বলা হয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল রাতে কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল ঘরে প্রবেশ করে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে চেয়ার টানা-হেঁচড়া করে শব্দ করতে থাকেন। এতে ঘুম ভেঙে গেলে রবিউল শান্তভাবে তাকে শব্দ কমাতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জালাল প্রথমে কাঠের চেয়ার দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করেন।
রবিউল হাত দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে কপালে আঘাত পান। এরপর জালাল পুরনো একটি টিউব লাইট ভেঙে সেটি দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। রবিউল মাথা সরিয়ে নিলে আঘাত লাগে তার বুকের বাঁ পাশে। এতে টিউব লাইট ভেঙে গিয়ে রবিউল আহত হন। পরে ভাঙা টিউব লাইটের ধারালো অংশ দিয়ে আঘাত করলে তার বাঁ হাতে গুরুতর কাটা জখম হয়।