কে এই দোসর ও কিশোরগ্যাং লিডার শ্রীতাপ? যার তাপে বন্দরবাসী অতিষ্ঠ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২০ জুলাই ২০২৫ ০৫:১৫ অপরাহ্ণ   |   ৩২ বার পঠিত
কে এই দোসর ও কিশোরগ্যাং লিডার শ্রীতাপ? যার তাপে বন্দরবাসী অতিষ্ঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক:-



বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমান,ছাত্রলীগ নেতা আহম্মেদ কাউছার ও বন্দর থানার যুবলীগ নেতা খান মাসুদের নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং লীডার ও একাধিক মামলার আসামী শ্রীতাপ। শ্রীতাপ বাহিনীর প্রধান শ্রীতাপ ও তার অনুগতরা অল্প সময়ে ধনী হবার খায়েশে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বন্দরের ঝাউতলা এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ওসমান পরিবারের দোসর ও কিশোরগ্যাং লিডার শ্রীতাপ।

 

জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর শামীম ওসমানসহ এলাকার অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন ক্যাডার শ্রীতাপ বিএনপি নেতাদের সাথে আতাত করে এলাকায় ফিরে ঘুরাফেরা করছে প্রকাশ্যেই। বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের হয়ে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্বশান্ত করে দিয়েছে অনেক পরিবারকে।
 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অয়ন ওসমানের সাথেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনতার উপর হামলা চালিয়েছিল।
 

বন্দরে ওসমান পরিবারের নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া,চাঁদাবাজিসহ সকল প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াতেন তিনি।
 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, কিশোর গ্যাং লিডার শ্রীতাপ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বন্দরের ঝাউতলা ও আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ। অয়ন ওসমান-আহম্মেদ কাউছার ও খান মাসুদসহ সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতাকর্মীর নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমসহ এলাকাবাসীকে অযথাই নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। সামান্য তুচ্ছ ঘটনা ঘটলেই দেশীয় অস্ত্র হাতে নিজের কিশোরগ্যাং নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে এই কিশোরগ্যাং লিডার।
 

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেয়, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৫-৪৫ জন। এই গোষ্ঠী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক সেবন ও বেচাকেনা, এবং ছিনতাই অপরাধে যুক্ত।পূর্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল, তবে ৫ই আগস্টের পর থেকে সে রাজনৈতিক আশ্রয় হারিয়ে পূর্ণমাত্রায় অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
 

এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক।