প্রকাশকালঃ
০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ ৩৪৩ বার পঠিত
মাসব্যাপী রোজার পর ঈদের আনন্দ নিয়ে উদিত হয় ঈদের চাঁদ। এই আনন্দ শুধু ধনীদের জন্য নয়, বরং সকলের জন্য। ঈদের এই আনন্দোৎসবকে আরো রঙিন করতে গরিব ও অসহায়দের দিকে সাম্যের হাত বাড়িয়ে দিন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "সব মুমিন এক দেহের মতো। যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয়, তখন তার পুরো শরীরই তা অনুভব করে। যদি তার মাথা ব্যথা হয়, তাতে তার পুরো শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে।" (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮৬)
বয়স্কদের প্রতি সহানুভূতি
যারা বয়স্ক এবং বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তাদের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকান। তাদের প্রতি করুণা দেখান এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে যান। নিজেদের ঈদের কেনাকাটার কিছু অংশ তাদেরও দিয়ে দিন।
অসুস্থদের পাশে দাঁড়ান
ঈদের আনন্দ যাদের কাছে কেবল স্বপ্ন, তাদের কথা ভুলবেন না। যারা কঠিন পীড়ায় অসুস্থ হয়ে বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে পড়ে আছে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। সেবা-শুশ্রূষা করে হোক, আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে হোক, এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিজেদের কল্যাণের জন্য তোমরা যে উত্তম কাজ করে থাকো, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে পাবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১০)
আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করুন
সারা বছর কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা অনেক আপনজনকেই ভুলে থাকি। ঈদের উৎসবে অবসর যাপনের দিনগুলোতে তাদের খোঁজ নিন, তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। সুখ-দুঃখের কথা শুনুন। কেউ আর্থিক টানাপড়েনে থাকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। ঈদের সময় পারস্পরিক মনোমালিন্য দূর করা ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উত্তম সময়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয়, যে তার ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৬৯৭)
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক—এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।