ওয়াটারলুর যুদ্ধ ১৮১৫ সালের ১৮ জুন বেলজিয়ামের ওয়াটারলু শহরের কাছে সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ব্রিটিশ ও প্রুশিয়ান বাহিনী দ্বারা পরাজিত হন। এই যুদ্ধ নেপোলিয়নের রাজত্বের সমাপ্তি এবং ইউরোপে ফ্রান্সের আধিপত্যকে চিরতরে শেষ করে দেয়।
ওয়াটারলুর যুদ্ধের মূল কারণ ছিল নেপোলিয়নের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন। ১৮১৪ সালের এপ্রিলে ওয়াটারলু যুদ্ধের পরে নেপোলিয়নকে এলবা দ্বীপে নির্বাসিত করা হয়েছিল। কিন্তু ১৮১৫ সালের মার্চ মাসে তিনি পালিয়ে যান এবং ফ্রান্সে ক্ষমতায় ফিরে আসেন।
নেপোলিয়নের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। তারা নেপোলিয়নের পুনরাবির্ভাবের হুমকি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিল। তাই তারা নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করে। এই জোটের নেতৃত্ব দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট দ্য ইয়ং।
নেপোলিয়ন বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিকে এককভাবে মোকাবেলা করতে পারবেন না। তাই তিনি জার্মানির প্রুশিয়ান রাজ্যের সাথে একটি জোট গঠন করেন।
১৮১৫ সালের ১৮ জুন নেপোলিয়নের বাহিনী ওয়াটারলু শহরের কাছে ব্রিটিশ ও প্রুশিয়ান বাহিনীকে মোকাবেলা করে। যুদ্ধটি ছিল অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী। যুদ্ধের শেষে নেপোলিয়নের বাহিনী পরাজিত হয়।
ওয়াটারলুর যুদ্ধের ফলে নেপোলিয়নকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাসিত করা হয়। এই যুদ্ধ ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যের পতন এবং ইউরোপের স্থিতিশীলতার প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করে।