ঘূর্ণিঝড় রেমালে ১ লাখ ৭৩ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত 

প্রকাশকালঃ ৩০ মে ২০২৪ ০৪:২৭ অপরাহ্ণ ৫৩৬ বার পঠিত
ঘূর্ণিঝড় রেমালে ১ লাখ ৭৩ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত ও অতিবৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের করা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ৪৮টি জেলার কৃষিতে রেমালের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩ জেলা। রেমালের আঘাতে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন।  
 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪৮টি জেলার কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে। উল্লেখযোগ্যহারে আক্রান্ত হয়েছে উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলা (বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা) এবং খুলনা অঞ্চলের ৪ জেলা (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল), চট্টগ্রাম অঞ্চলের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার। বর্তমানে মাঠে দণ্ডায়মান ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৫ হেক্টর এবং আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর। আউশ বীজতলা ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, বোরো ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির ধান, বোনা আমন ৪ হাজার ৮২৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর, পাট ২৯ হাজার ৭৪৯ হেক্টর, তিল ৭ হাজার ৫৩৬ হেক্টর, মুগ ৩ হাজার ৫০৭ হেক্টর, মরিচ ২ হাজার ৪৪৪ হেক্টর দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। ৭ হাজার ৫৮ হেক্টর জমির পান দুর্যোগ কবলিত হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফলের মধ্যে আম ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর, লিচু ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর, কলা ৭ হাজার ৬১৩ হেক্টরসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফল দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরিশাল অঞ্চলের আউশ বীজতলা ৯ হাজার ১০১ হেক্টর, আউশ ১৭ হাজার ৯০ হেক্টর, মুগ ২ হাজার ৪১৯ হেক্টর, শাকসবজি ১৭ হাজার ২৪৭ হেক্টর, পান ৩ হাজার ৪৭৩ হেক্টরসহ মোট ৫৪ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের জমি আক্রান্ত হয়েছে। যার প্রাথমিক আনুমানিক ক্ষতির মূল্য ৫০ হাজার ৮৯৭ লাখ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন। বরিশাল অঞ্চলের ন্যায় অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাঠে কিছু ভুট্টা, চীনাবাদাম ছাড়া অন্য রবিশস্য না থাকায় কৃষি বিরাট ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে। আসন্ন আমনের জন্যও এ বৃষ্টি সুফল বয়ে আনবে। জমির চাষাবাদ উপযোগী অবস্থা বিশেষ করে খরাপ্রবণ এলাকার জন্য বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। যা বিভিন্ন সবজি ও ফলফলাদির জন্য ভূমিকা পালন করবে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং সাত আট দিন পর ক্ষতির মাত্রাটা প্রকৃতপক্ষে বোধগম্য হবে।