ঢাকা প্রেস নিউজ
অনুষ্ঠিতমসজিদ সমাজ বাংলাদেশ এর সভাপতি এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পরিচালক জনাব নওয়াব আলী ভূঁইয়ার আহ্বানে মসজিদ সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হলরুমে আজ (০৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার) ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়া চালুর বিষয়ে “এ ডিসকাশন মিটিং এবাউট ওপেনিং অফ ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়া লি.” নামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়ার চালুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হয়। সভার শুরুতে আহবায়ক ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়া অনুমোদনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জাম্বিয়ার সরকার বাংলাদেশ থেকে আল আরাফার ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমাকে এবং ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে একজনকে আহবান জানান ইসলামী ব্যাংক চালুর বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য। পরবর্তীতে আমরা দুইজন সেখানে যাই এবং একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক চালুর বিষয়ে অনুমোদন পেয়ে যাই।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু জটিলতা থাকার কারণে আমরা ফান্ডিং করার ব্যাপারে আটকে যাই। পরবর্তীতে ২০২০ সালের দিকে বৈধভাবে টাকা নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দেন। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমরা চিঠি দেই এবং কিছুদিন ঘোরাঘুরি করি কিন্তু দৃশ্যমান কোন কাজ বের করতে পারি নাই। আমাদের ব্যাংকের তো রেজিষ্ট্রেশন আছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকার কারণে আমরা কাজটাকে আর এগিয়ে নিতে পারি নাই।
এখন আল্লাহর রহমতে মসজিদ সমাজ বাংলাদেশ ঝামেলা মুক্ত হয়েছে। এখন আপনাদের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়াকে চালুর বিষয়ে। দারুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং মসজিদ সমাজ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ এস. মিজান বলেন, ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়া প্রতিষ্ঠা হলে দেশের হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক হওয়ার কারণে বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশের সুনাম ও সুখ্যাতি আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক একটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রত্যেকেই অবদান রাখতে পারি।
এই প্রতিষ্ঠানে যাদের যতটুকু সাধ্য আছে, যেভাবে সুযোগ আছে সকলকেই ততটুকু অবদান রাখার ও অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংক এর সাবেক এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী আব্দুল মোমিন ভূঁইয়া বলেন, যাদের টাকা পয়সা আছে, যাদের সুযোগ আছে, তারা এই ব্যাংকের সাথে যেন যুক্ত হন। এমন একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংকের অংশীজন হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ক্যাপ্টেন (অবঃ) হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমি নিজে ইসলামী ব্যাংক অব জাম্বিয়ার সাথে যুক্ত হবো।
এছাড়াও আমার পরিচিত জনদেরকেও আমি এই ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার হওয়ার জন্য আহবান জানাবো। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কোম্পানী সেক্রেটারী জনাব মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, ব্যাংকের স্টেক হোল্ডার কারা হবে, কাদের টার্গেট নিয়ে ব্যাংক তৈরি হবে, সেটা আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়াও শেয়ার পয়েন্ট কত হবে, শেয়ার হোল্ডার হওয়ার শর্ত ইত্যাদী আরও ক্লিয়ার হওয়া দরকার। আহসানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে শেখ মোঃ ওসমান গণি, বলেন, আগামী ৫০ বছরে মুসলমিদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ইসলামী অর্থনীতি।
আহসানিয়া মিশন মসজিদ সমাজের সাথে এই মহতি উদ্যোগের থাকবে ইন-শা-আল্লাহ! এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও গণ্য মান্য ব্যবসায়ী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।