ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন গায়ক নোবেল

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ জুন ২০২৫ ০২:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৩০ বার পঠিত
ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন গায়ক নোবেল

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

ইডেন কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
 

নোবেল কারাগারে বসেই মামলার বাদীকে বিয়ে করেন। সেই বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় জামিন পেলেন তিনি। জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নোবেল ও বাদী দুজনই। আদালতকে বাদী জানান, নোবেল জামিন পেলে তার কোনো আপত্তি নেই। এরপর বিচারক জামিনের আদেশ দেন।
 

নোবেলের পক্ষে জামিন আবেদনে জানানো হয়, ২০ মে থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। বাদী ও আসামির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ মামলা করা হয়। তারা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে তারা বিবাহ রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করবেন।
 

এর আগে গত ১৮ জুন আদালতের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে উভয়ের সম্মতিতে নোবেল ও বাদীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
 

মামলার পটভূমি

গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রীকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ডেমরা থানায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২০ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই বছরের ১২ নভেম্বর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে নোবেল তাকে ডেমরার বাসায় ডেকে নেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সেখানে নোবেল ও তার সহযোগীরা তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়।
 

বাদী আরও অভিযোগ করেন, তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয় এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি মারধর ও শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হন।
 

এক পর্যায়ে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে চিনে ফেলেন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। পুলিশ সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এরপর ডেমরা থানায় অপহরণ, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।