চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:১৩ অপরাহ্ণ   |   ৯৪ বার পঠিত
চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

ঢাকা প্রেস,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:-

 

চীন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ওয়ামী স্কুলে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের অধিকাংশ বড় উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা রয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে দিয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বিশ্বের বৃহৎ সম্মেলন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্মেলন কেন্দ্র চীন বাস্তবায়ন করেছিল, যা পরবর্তীতে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়। আমরা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও চীনের জনগণকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”


তিনি আরও বলেন, “বিশ্বে যে কয়টি দেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে নেতৃত্ব দিচ্ছে, চীন তাদের মধ্যে অন্যতম। চীনের কাছ থেকে আমাদের শেখার ও জানার অনেক কিছু আছে। চায়নিজ ভাষা শিক্ষার জন্য উচ্চতর একাডেমি গড়ে তুললে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম চীনের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে।”


‘লং লিভ ফ্রেন্ডশিপ’ নামে একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এক হাজার দুস্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র, চাল, ডাল, তেল, চিনি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।


অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত হলে ওয়ামী স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি অনুষ্ঠানের পর এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আজকের এই মহৎ উদ্যোগের জন্য আমরা চীন সরকার এবং চীনা প্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা দিন দিন আরও শক্তিশালী হবে।”