ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে বছরে অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশকালঃ ০২ মার্চ ২০২৩ ০৪:২৪ অপরাহ্ণ ৪১৬ বার পঠিত
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে বছরে অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সাবেক সহকারী প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা সদস্যসচিব। তদন্ত কমিটির অপর সদস্য হলেন রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক দিলারা জাহিদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রক্টরিয়াল টিমের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে যেকোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কমিটির কাছে পেশ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে তিন শতাধিক অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে বছরে অর্ধকোটি টাকার বেশি চাঁদা তুলছে প্রক্টরিয়াল টিম। এই চাঁদাবাজির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রক্টর কার্যালয়ের টোকেনম্যান শামীম হোসাইন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নির্ধারিত লাইন্সম্যানদের মাধ্যমে চাঁদার টাকা তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়।

চাঁদার টাকার ভাগ যায় প্রক্টর কার্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. রেজাউল করিম, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য মো. জুয়েল, মাসদু রানা, হামিদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ, মো. মিরাজ, মো. মেহেদী, আমিনুল ইসলাম, কৃষাণ, মো. সালাউদ্দিন ও মো. জাহিদের পকেটে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাইন্সম্যান হিসেবে কাজ করেন আকরাম (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটক), নুরুল ইসলাম (কার্জন হলের উত্তর পাশের ফুটপাত), মো. কবির (ক্যাম্পাসের ফুচকার দোকান) ও খোকা (টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটক)। এ ছাড়া টিএসসি এলাকায় টোকেনম্যান শামীম হোসাইনের নিজের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে।

জানতে চাইলে শামীম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও তাঁর ‘অবৈধ’ অর্থ লেনদেনবিষয়ক কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হয়েছে।