রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে খামেনির চিঠি, পারমাণবিক আলোচনায় রাশিয়ার সক্রিয়তা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০২:০৮ অপরাহ্ণ   |   ৮৫ বার পঠিত
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে খামেনির চিঠি, পারমাণবিক আলোচনায় রাশিয়ার সক্রিয়তা

অনলাইন ডেস্ক:-

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনার বিষয়ে রাশিয়াকে অবহিত করতে মস্কো সফর করেছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সফরকালে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একটি চিঠি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে হস্তান্তর করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
 

প্রতিবেদনে বলা হয়, চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা, ওমানের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠক, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য সংলাপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল ওমানে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার আলোচনাকে দুই পক্ষই ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। দ্বিতীয় দফার বৈঠক হতে পারে রোমে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে।
 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ নীতির আওতায় একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তেহরানের তেল রপ্তানি কার্যত বন্ধ করে দিয়ে, পরমাণু কর্মসূচি থামাতে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
 

তবে ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, এটি তাদের সার্বভৌম অধিকার। ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি—আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ ও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
 

এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে 'অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য' বলেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী হিসেবে রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
 

এদিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সম্প্রতি সতর্ক করেছেন যে, ইরান এখন পরমাণু অস্ত্র তৈরির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ফরাসি দৈনিক লে মন্ডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরান বোমা তৈরির দিক থেকে খুব বেশি দূরে নয়।”
 

আইএইএ’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরান ইতোমধ্যে ৬০% মাত্রার প্রায় ৪২ কেজি উচ্চ-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে, যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার একেবারে কাছাকাছি। সংস্থাটি আরও অভিযোগ করেছে, ইরান কিছু পরমাণু স্থাপনায় আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার না দিয়ে স্বচ্ছতা লঙ্ঘন করছে।