ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
শীতকালকে বলা হয় শাক সবজির ভরা মৌসুম। তাই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের অনেক কৃষকই আগাম শীতকালীন শাক সবজি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন জনপদে শুরু হয়েছে শীতকালীন শাক সবজির চাষ। বিভিন্ন ইউনিয়নে জমিতে কৃষকরা শাক সবজি চাষের জন্য জমি তৈরির পর বীজ বপন ও পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন।
এছাড়া জমি চাষ, শাক-সবজি রোপণ ও তোলা, কীটনাশক স্প্রে, সার ছিটানো, জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন কৃষকরা। সবাই যেন আগাম শাক-সবজি বাজারে তোলার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার নিচু জমিতে রয়েছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। আর অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে লাগানো হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, করলা, বেগুন, মুলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাজরসহ নানা জাতের শীতকালীন শাক-সবজি।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এদিন ভোর থেকে শাক সবজি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ ফুলকপি ক্ষেতে আগাছা কাটছে আবার কেউবা স্প্রে করছে। কেউ সবজি ক্ষেতের পরিচর্যা করছে।
অনান্য কৃষকদের মতো প্রতিবার আগাম শীতকালীন সবজি ফুলকপির চাষ করেন জেলার রাজারহাট উপজেলার মীরের বাড়ী এলাকার কৃষক আসমত আলী। এবারও তিনি অধিক মুনাফার আশায় এক একর জমিতে আগাম ফুলকপি লাগিয়েছেন। দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই কৃষক। কখনো ক্ষেতে স্প্রে, কখনো আগাছা পরিস্কার সহ নানা কাজে ব্যস্ত তিনি।
এসময় কথা হলে কৃষক আসমত আলী বলেন, লাভের আশায় এক একর জমিতে আগাম ফুলকপির চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। গাছে ফুলকপি ধরতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে, বাজার দর ভালো থাকলে লাভবান হবো।
একই উপজেলার ঝাড়খোলা গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, বারো শতক জমিতে আগাম মুলার চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজার দর ভালো পেলে লাভের আশা করছি।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার ২শ হেক্টর জমিতে। তারমধ্যে আগাম শীতকালীন শাকসবজি চাষ হয়েছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অধিক মুনাফা অর্জনের আশায় কৃষকরা এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাক সবজি শসার চাষাবাদ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব সময় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলন আশা করছি।