বেড়েছে চালের দাম, চড়া চিনির দামও

প্রকাশকালঃ ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০১:২১ অপরাহ্ণ ২১৪ বার পঠিত
বেড়েছে চালের দাম, চড়া চিনির দামও

তুন চাল অল্প দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে। তাই কম চালের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা । এক মাসে বাজারে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা । খুচরায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম। তবে তুলনামূলক কম বেড়েছে সরু চালের দাম। চিনির দামও বেড়েছে। সরবরাহ সংকটকে দায়ী করে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় ধরনের চিনির দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা ও শাহজাহানপুর বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম খুচরা বাজারে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা এবং সরু চালের দাম খুচরায় বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা ।

বাজারে এখন ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি মোটা চালের দাম পড়ছে, আর মাঝারি মানের চাল ৫৯ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালের বেশ কয়েকটি ধরন বাজারে পাওয়া যায় দাম ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা। তবে দাম বেশি হওয়ায় কম ও সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত এই চাল কম কিনে থাকেন।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এইচ আর খান পাঠান বলেন, চালের দাম মিলমালিকেরা না বাড়ালেও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। তাই চালের বাজার তদারকি করা প্রয়োজন। তবে এবার চালের উৎপাদন ভালো এবং নতুন চালও দ্রুত বাজারে আসবে। তাতে চালের দাম আর বাড়বে বলে মনে হয় না।

ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে চালের দাম বাড়ার তথ্য পাওয়া গেলেও সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গত বৃহস্পতিবারের  বাজারদরের তালিকা অবশ্য বলছে, গত এক মাসে মোটা ও সরু চালের দাম ২ শতাংশ কমেছে। আর ৩ শতাংশ কমেছে মাঝারি চালের দাম।

চালের পর বাজারে বেড়েছে চিনির দাম।  ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির সংকট আছে বাজারে, সে কারণেই দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারের জন্য খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকায় সরকারিভাবে নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে।

এদিকে বাজারে বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম। খুচরায় এখন খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এই দাম ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনিও ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে চিনির দাম এখনো বাড়ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি মিলফটক থেকে পাচ্ছেন না।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজার থেকে তাঁরা প্রতি কেজি খোলা চিনি কিনেছেন ১৩৭ টাকায়। কেউ কেউ এর চেয়ে বেশি দামেও কিনেছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে মোড়কে প্রতি কেজির দাম ১৩৫ টাকা লেখা থাকলেও প্যাকেটজাত চিনি পাইকারি বাজারে ১৩৭ থেকে ১৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 

মোকামেও চালের দাম বাড়তি
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে চালের অন্যতম বড় মোকাম নওগাঁয় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা বেড়েছে। সেখানকার মেসার্স চকদার চালকলের মালিক ও জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ধানের দাম মণে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। এ কারণে চালের দামও বেড়েছে।

আরেক বড় মোকাম কুষ্টিয়ার চালের বাজারেও দাম বেড়েছে। খাজানগর এলাকার মিলমালিকেরা বলেন, পুরোনো ধানের সংকটে দাম বেড়েছে। ধান কাটা পুরোপুরি শুরু হয়নি। নতুন ধান বাজারে এলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।